Header Ads

একটি প্রাপ্তবয়স্ক কবিতা - 'স্তন' ।। An Adult Bengali Poem - 'Ston' (Breast)

আমি কবিতা লিখতে ভালোবাসি, তাই কবিতা লিখি, জানিনা সেগুলো কবিতা হয় কিনা? সেটা তো পাঠক ই একমাত্র বলতে পারবে।
এখন আসলে আমার কবিতা নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না, বলতে চাইছি আমার এক মজার ঘটনা , যা থেকে আজকের এই কবিতা লেখার অনুপ্রেরনা পেয়েছিলাম।
আসলে আমি কলেজ লাইফ থেকেই মেশে থাকি। তো মেশে অনেকেই জানে যে আমি কবিতা লেখা লেখি করি, তাই অনেকে আমার কাছে সাহিত্য রসের জন্য কবিতা শুনতে আসে, কেউ আসে মজা করার জন্য, কেউ বা আমার খিল্লি ওড়াবে বলে। তাতে আমার কোন যায় আসে না।
তবে একান্ত মজার বশে আমার কয়েকজন বন্ধু আমায় একটি প্রাপ্ত বয়স্কদের কবিতা লিখতে বলল। তো ঐ ধরনের কবিতা তো কোনদিন লিখিনি, আর ওসব বিশয়ে মাথায় কোন দিন ও আমার তেমন কিছু আসেনি। তো কি লিখব, কিভাবে লিখব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।
কিন্তু হঠাৎ করে সেই সুযোগ টা চলে এল,  মানে একদিন কলেজে প্রাকটিকাল করছিলাম। আমাদের টোটাল পাঁচজন মিলে একটা করে গ্রুপ বানিয়ে প্রাকটিকেল করতে হত। তো আমাদের গ্রুপে আমাকে নিয়ে মোট তিনজন ছেলে এবং দুজন মেয়ে ছিল।
সেদিন প্রাকটিকেল চলাকালীন মাঝখানে স্যার বসছিলেন আর স্যারের একদিকে আমরা তিনজন ছেলে আর অন্য দিকে ঐ দুজন মেয়ে।
ঐ দুজন মেয়ের মধ্যে একজন যেমন অপরূপ সুন্দরী তেমন সুডোল শরীরের অধিকারিনি ছিল, কত ছেলে যে তার প্রেমে পাগল ছিল, সে বলা শুরু করলে পুরো একটা উপন্যাস লেখা হয়ে যাবে।
অনেক আলাদা কথা হল, এবার আসল কথায় আসি। ওইদিন প্রাকটিকেল চলাকালীন মেয়েটি হটাত সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। কিন্তু দুরভ্যাগবশত মেয়েটি তার বক্ষ আবরণী না পরার কারণে সেই অপ্ রূপ পরিনত প্রস্ফুটিত ফুলের সৌন্দর্যের প্রত্যক্ষ দর্শন আমাদের তিন বন্ধুর ভাগ্যে জোটে।
এরপর আমার ঐ বাকি বন্ধুদের সারাদিন কেমন কেটেছিল জানি না, তবে আমার সমস্ত ভাব, চিন্তা, খেয়াল সবকিছু এই কবিতা রূপে ওইদিন আমার কাছে ধরা দিয়েছিল, যাকে আমি বহু চেষ্টাতেও আগে কখনও গ্রেপ্তার করতে পারিনি।
তাহলে শুরু করা যাক কবিতাটা। কেমন লাগল জানাবেন।


কবিতা - 'স্তন'

ভগবান সৃষ্ট এ অপার সৌন্দর্য !
রাখিবে কোথায় তাহারে ? 
অবলা জাতি বলিয়া, সে তাহা - 
রাখিয়াছে তাহার বক্ষ ভরে । 
সৌন্দর্যের প্রতীক সেটি, 
তাহার মুল্ধন; 
শক্তিশালী পুরুষ জাতি - 
করে তাহা মন্থন। 
ছলাকলার কেন্দ্র সেটি , 
ইশারায় ডাকে । 
বর্বর পুরুষ সর্বদাই - 
তারই পানে চেয়ে থাকে। 
লজ্জায় নারী বসন ঢাকে 
তাহার কারণে - 
পাছে পুরুষ লোভ দেয় - 
অতি গোপন স্থানে। 
যৌনতার কেন্দ্র সেটি, 
আনন্দের মুল। 
তাকে মন্থন করাই হল - 
পুরুশত্তের একমাত্র গুণ । 
বর্ণনা কি করিব তাহার, 
কবির ভাষায় সেটি - 
'উপুড় করা ছোট্ট দুটি নারকোলের মালা, 
তার উপরে সদ্য ফোটা বকুল ফুলের কুঁড়ি।'
অন্য কিছু নয় যে সেটি, 
ছোট্ট মাংসপিণ্ড - 
তাই দেখেই পুরুষ সব 
পশুর মতো হিংস্র। 
যৌনতার কেন্দ্র সেটি - 
পুরুশ-নারির জন্য, 
কখনও আবার কেন্দ্রীভূত প্রাণ সেটি - 
গর্ভবতী নারীর জন্য। 
সদ্যজাত'র খাদ্য সে যে - 
যোগায় খনে খনে; 
বিধাতার শ্রেশঠ সৃষ্টি 
সবাই তাহা জানে। 
তারই বলে, আজ অবলা 
হয়েছে সবলা, 
তারই বলে, আজ অবলা 
হয়েছে গৃহ কমলা। 
তারই বলে, নারী পুরুষ - 
এত ভেদাভেদ; 
তারই বলে, পৃথিবীতে 
আজ শান্তির ছেদ। 
পৃথিবীতে আজ যতই 
ধরশন-কুকাজ চলে
তার মুলে রয়েছে সে যে, 
প্রতিটি ক্ষণে। 
ভগবান সৃষ্ট সে যে, 
অষ্টম আশ্চর্য ; 
নারিজগতের সে যে এক 
অপার ঐসচরজ্য। 
বর্বর পুরুষ সর্বদাই তাকে পেতে চায়; 
কারণ সে যে - 
নারিজাতের একমাত্র মুল্ধন 
নারীপুরুষ সবাই জানে - 
তাহার নাম 'স্তন' । 

(কবিতা টি নিছক মজার উদ্দেশ্যে, কাউকে আঘাত দেবার কোন উদ্দেশ্য ই ছিল না কবিতা টা লেখার সময়ে। )



1 comment: