Header Ads

রাজনীতির দুবৃত্তায়ন (Criminisition of Politics)

সাম্প্রতিক কালে রাজনিতিক দল গুলির মধ্যে মারাত্মক ভাবে অপরাধপ্রবনতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। নানান কুখ্যাত অপরাধী আইনের শাস্তি থেকে রেহাই পাবার জন্য রাজনিতিক দল্গুলিতে নাম লেখাচ্ছেন। আবার অনেক রাজনৈতিক নেতা বা তাদের আত্মীয় পরিজন আইনের চোখে জঘন্য অপরাধ করেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে সমাজে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ।

সম্প্রতি আবার বেশ কিছু রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্মকে আশ্রয় করে এগচ্ছেন, ধর্ম সম্পর্কে মানুষের স্বাভাবিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা সর্বনাশের পথ প্রস্তুত করেছেন। কিছু অল্প সংখ্যক মানুষের ধর্মীয় অন্ধত্ব ও স্বার্থলোভী রাজনৈতিক দল্গুলির নগ্ন সাম্প্রদায়িকতার একটি জঘন্য দৃষ্টান্ত হল ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর একদল কট্টর হিন্দু মৌলবাদী করসেবার নামে প্রায় পাঁচশো বছরের পুরনো বিতর্কিত একটি ধর্মস্থানকে ভেঙ্গে ধুলোয় মিশিয়ে দেয়।

এইভাবে ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে জড়িয়ে তাঁরা যে আগুন নিয়ে খেলছেন সে আগুনে তাদের নিজেদের পুড়ে মরার সম্ভাবনা আছে তা তারা ভুলে যাচ্ছেন।

ধর্ম ও রাজনীতি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয় । ধর্ম যেখানে ব্যক্তিগত চিত্তবৃত্তির বিকাশ, রাজনীতি সেখানে সামাজিক ও মানবিক জীবননীতির প্রকাশ। তাই ধর্মকে কোন অবস্থাতেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা ঠিক নয়। ধর্মকে রাজনিতিতে ব্যবহার করলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভেদবুদ্ধি মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। এর ফলে জাতীয় সংহতি ধ্বংস হয়ে যাবে । এবং তার সাথে সাথে কিছু স্বার্থলোলুভী ব্যক্তির রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে আইনের চোখের সামনে অপরাধ করেও নিশ্চিন্তে সমাজে মুক্তভাবে থাকলে সেদিন আর বেশিদুরে থাকবেনা যেদিন দুর্নীতির পদতলে চাপা পড়ে দেশ ও সমাজ সম্পূর্ণরূপে খোকলা হয়ে পড়বে।

                             
                                  Credit for this Photo to: Image by Wokandapix from Pixabay

No comments