কবিতা সুতনুকা, আমার এক স্বপ্ন সুন্দরীকে নিয়ে কবিতা . A Bengali Poem of my Dream Girl
কবিতা - সুতনুকা
অপ্রস্ফুটিত কোমল বক্ষ পুষ্প নিয়ে
এক ষোড়শী সুন্দরী এসেছিল আমার সমীপে,
রেখেছিল তার কৌমার্য কে উন্মুক্ত করে;
অপূর্ব সেই রুপ, অপূর্ব সেই সুতনু,
অপূর্ব সেই নাম সুতনুকা।
শত আরব্য রজনী, হাজার উপন্যাসে - ও
অতুলনীয় তার রুপের বর্ণনা।
সে আমার অধিষ্ঠাত্রী দেবী, মোর পথসঙ্গিনি,
সে আমার প্রানপ্রিয়া।
কি তাহার করিব আমি রুপের বর্ণন ?
মহাকবি কালিদাস, চণ্ডীদাস, কৃত্তিবাস করিতে
পারেনি যেথা -
আমি তো তুচ্ছ মানুষ সেথা,
কি করে বলিতে পারিব আমি তার যৌবন ?
রুপের আগুন সে যে,
তার তাপ সওয়া বিষম দায়।
দ্রপদি সম -
জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড হতে,
জনম যেন তার।
কোমল চরণ তাহার যেন বিষ্ণু ভার্যা।
অপূর্ব ভগবান সৃষ্ট তাহার শরীরের নিম্নাংশ,
সুউত্তল নিতম্ব তাহার
যাতে হয়েছে ঘায়েল কত বর্বর পুরুষ মন।
গোলাপ ফুলের পাপড়ির মতো,
তার পবিত্র যোনি -
পবিত্র করেছে তার নারিসত্তাকে।
দীপাবলির পবিত্র দ্বীপে তার
এখনও জ্বলেনি আলো,
তবু তার চারিদিক করে শুধু ঝকমকে ভালো।
তন্বী তরুণী সে যে,
তন্বী কোমর তার -
বাড়িয়ে তুলেছে তার যৌবনের অপার সৌন্দর্য।
উদর তাহার মসৃণ
সে যে পদ্ম পুস্প সম।
পদ্ম পুস্প মাঝে কোন এক -
চিরন্তন কালজয়ী ভাস্কর এঁকে দিয়ে চলে গেছে
এক ডিম্বাকৃতির চাঁদ, যার গায়ে নেই কোনো
কালো দাগ,
বক্ষ দুটি তার অপ্রস্ফুটিত কোমল পুষ্প,
প্রতিটি পুষ্প মাঝে একটি বকুল
ফুলের কুঁড়ি;
এখনো যা রয়েছে পবিত্র,
পড়েনি যেথা কালো হাতের ছোঁয়া।
কণ্ঠে বসতি তার মাতা বাগ দেবী,
বেদমন্ত্র উচ্চারনে সুপটু সে নারী,
সঙ্গীতে সে যে সেরা।
বদন তাহার লজ্জা দেবে চন্দ্র দেবকেও,
চোখ তার টানা টানা, মনি দুটি গোল,
মোর মন তা দেখে করে উচাটন।
অগাধ কেশরাশি তার মাতা আদিশক্তি যেন,
ছড়িয়ে রয়েছে তাহার তনুর চারিদিক সম।
কেশরাশির গন্ধে তার হয়েছি আমি ব্যাকুল,
মোর যৌবন তৃষ্ণা তাতে হয়েছে আকুল।
অপূর্ব শরীর রোমন্থন আমার হয়েছিল সেথা,
সর্বশেষে তার কাছে -
নিলজ্জায় মোরে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম যেথা।
অবিস্মরণীয় সে দিন আমার,
সে আমার ভালোলাগা, ভালোবাসা,
সে আমার সুতনুকা,
মোর যৌবনের ত্রাতা।
Post a Comment