জীবন বদলে দেবার মতো মহাপুরুষদের কিছু বানী । Some life changing motivational, inspirational quotes in bengali by great people
এ জগৎ কর্মময়। আর এই পৃথিবীর সবচাইতে উন্নত জীব মানুষ সর্বদা কোন না কোন কর্মে ব্যস্ত। আর এই দৌড় ঝাঁপ জীবনের মাঝে মাঝে নানান কারণে মানুষ হয় হতাশার শিকার। সেই হতাশা কে কাটিয়ে তুলতেই দরকার পড়ে একটা Positive energy or Positive Vibe. সেই পসিটিভ এনার্জির জন্য যুগে যুগে জন্ম নেওয়া কিছু মহাপুরুষ বলে গেছেন কিছু মহা মুল্যবান বানী। যা আমাদের অর্থাৎ জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়া কিংবা হতাশা গ্রস্ত মানুষদের নতুন জীবনের পথ দেখায়, দেখায় আশার আলো, বেঁচে থাকার আলো।
সেই রকম কিছু মুল্যবান বানী সংগ্রহ করে এনেছি আপনার / আপনাদের জন্য।
যদি এই বানী গুলির মাধ্যমে আপনাদের জীবনে কিছু পরিবর্তন আসে তাহলে আমার এই পরিশ্রম সার্থক হবে।
চলুন এবার তবে শুরু করা যাক।
" ভাঙতে সবাই পারে, গড়তে পারে ক'জনে? নিন্দা - ঠাট্যাঁ করতে পারে তো সবাই, তাকে ভালো করতে পারে কজনে ? আমার ছেলে যদি ধুলো - কাদা মাখে, আমাকেই তো ধুলো ঝেড়ে কোলে নিতে হবে ।" ~~~~~~ শ্রীমা সারদা দেবী।
" চিদাত্মা আর চিচ্ছক্তি। চিদাত্মা পুরুষ, চিচ্ছক্তি প্রকৃতি। চিদাত্মা শ্রীকৃষ্ণ, চিচ্ছক্তি শ্রীরাধা। ভক্ত ঐ চিচ্ছক্তির এক একটি রুপ। শ্রীকৃষ্ণ সাক্ষাৎ পূর্ণ ব্রহ্ম, তিনিও রাধাযন্ত্র কুড়িয়ে পেয়ে লোকশিক্ষার জন্য তপস্যা করেছিলেন।
শ্রীকৃষ্ণ প্রেমে বঙ্কিম হয়েছিলেন। শ্রীমতীর প্রেমে ত্রিভঙ্গ হয়েছিলেন। কৃষ্ণরুপের ব্যাখ্যা কেউ কেউ করে, শ্রীরাধার প্রেমে ত্রিভঙ্গ। কালো কেন জানো ? আর চৌদ্দপো অত ছোট কেন? যতক্ষণ ইশ্বর দূরে, ততক্ষণ কালো দেখায়; যেমন সমুদ্রের জল দূর থেকে নীলবর্ণ দেখায়। সমুদ্রের জলের কাছে গেলে ও হাতে করে তুললে আর কালো থাকে না, তখন খুব পরিষ্কার, সাদা। সূর্য দূরে বলে খুব ছোট দেখায়; কাছে গেলে আর ছোট থাকে না। ইশ্বরের স্বরুপ ঠিক জানতে পারলে আর কালো ও থাকে না, ছোট ও থাকে না, সে অনেক দুরের কথা --- সমাধিস্থ না হলে হয় না, যতক্ষণ 'আমি' 'তুমি' আছে, ততক্ষণ নাম - রুপ ও আছে। তাঁরই সব লীলা। 'আমি' 'তুমি' যতক্ষণ থাকে, ততক্ষণ তিনি নানারুপে প্রকাশ হন। শ্রীকৃষ্ণ পুরুষ, শ্রীমতী তাঁর শক্তি - আদ্যাশক্তি। পুরুষ আর প্রকৃতি। যুগল মূর্তির মানে কি? পুরুষ আর প্রকৃতি অভেদ, তাঁদের ভেদ নাই। পুরুষ, প্রকৃতি না হলে থাকতে পারে না; প্রকৃতি ও পুরুষ না হলে ও থাকতে পারে না, একটি বললেই আর একটি তার সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে হবে। যেমন অগ্নি আর দাহিকা শক্তি। দাহিকা শক্তি ছাড়া অগ্নিকে ভাবা যায় না। আর অগ্নি ছাড়া দাহিকা শক্তি ভাবা যায় না। তাই যুগল মূর্তিতে শ্রীকৃষ্ণের দৃষ্টি শ্রীমতীর দিকে ও শ্রীমতীর দৃষ্টি শ্রীকৃষ্ণের দিকে। শ্রীমতীর গৌরবর্ণ বিদ্যুতের মত; তাই কৃষ্ণ পিতাম্বর পরেছেন। শ্রীকৃষ্ণের বর্ণ নীলমেঘের মত; তাই শ্রীমতী নিলাম্বর পরেছেন। আর শ্রীমতী নীলকান্ত মণি দিয়ে অঙ্গ সাজিয়েছেন। শ্রীমতীর পায়ে নূপুর, তাই শ্রীকৃষ্ণ নূপুর পরেছেন; অর্থাৎ প্রকৃতির সঙ্গে পুরুষের অন্তরে --- বাহিরে মিল।
তিনি ভক্তাধীন। দুর্যোধন অত যত্ন দেখালে আর বললে, এখানে খাওয়া - দাওয়া করুন; ঠাকুর (শ্রীকৃষ্ণ) কিন্তু বিদুরের কুটিরে গেলেন। তিনি ভক্ত বৎসল। বিদুরের শাকান্ন সুধার ন্যায় খেলেন।
ঈশ্বরীর শক্তির কাছে মানুষ কি করবে? অর্জুন কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধে বললেন, আমি যুদ্ধ করতে পারব না, গ্ম্যাতি বধ করা আমার কর্ম নয়। শ্রীকৃষ্ণ বললেন - "অর্জুন! তোমায় যুদ্ধ করতেই হবে। তোমার স্বভাবেই করাবে!" শ্রীকৃষ্ণ সব দেখিয়ে দিলেন, এই এই সব লোক মরে রয়েছে। শিখরা ঠাকুর বাড়িতে এসেছিল; তাঁদের মতে অশ্বথ গাছে যে পাতা নড়ছে, সেও ইশ্বরের ইচ্ছায় ------ তাঁর ইচ্ছা বৈ একটি পাতাও নড়বার জো নাই !" ~~~~~~ ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ ।
" ভগবন্নিভরতা ব্যতীত জীবনের উপায় কি? রোগ - শোক - মৃত্যু যে জগতের নিত্য ঘটনা, সেখানে একবার নিত্য সত্য শ্রীভগবানে আশ্রয় না করিলে মুহূর্তে মাত্র নিরুদ্বিগ্ন হইবার উপায় নাই। " ~~~~~~ শ্রী শ্রী ঠাকুর নিগমানন্দ ।
" শ্রীকৃষ্ণ চরিত্র পারফেক্ট। জ্ঞান, কর্ম, ভক্তি, যোগ --- তিনি যেন সকলেরই মূর্তিমান বিগ্রহ। শ্রীকৃষ্ণের এই ভাবটিরই আজকাল বিশেষ ভাবে আলোচনা চাই। এখন বৃন্দাবনের বাঁশি বাজানো কৃষ্ণকে দেখলে চলবে না। তাতে জীবের উদ্ধার হবে না। এখন চাই গীতা রুপ --- সিংহনাদকারী শ্রীকৃষ্ণের পুজা। " ~~~~~~ স্বামী বিবেকানন্দ ।
" মনটি দুধের মতো, সেই মনকে যদি সংসার জলে রাখ, তাহলে দুধে - জলে মিশে যাবে। তাই দুধকে দই পেতে মাখন তুলতে হয়। যখন নির্জনে সাধন করে মন্রুপ দুধ থেকে জ্ঞান ভক্তি রুপ মাখন তোলা হয়, তখন সেই মাখন অনায়াসে সংসার জলে রাখা যায়। সে মাখন কখনও সংসার জলের সঙ্গে মিশে যাবে না --- সংসার জলের উপর নির্লিপ্ত হয়ে ভাসবে। " ~~~~~~ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ।
" মন্দির দেখলে তাঁকেই মনে পড়ে --- উদ্দীপন হয়। যেখানে তাঁর কথা হয় সেখানে তাঁর আবির্ভাব হয়, আর সকল তীর্থ উপস্থিত হয়। এসব জায়গা দেখলে ভগবানকেই মনে পড়ে। " ~~~~~~ প্রভু রামকৃষ্ণ।
" তোমার মনের সন্ন্যাস হোক; সন্ন্যাসী সেজে মিছামিছি বহুরূপী হয়ে বসো না। তোমার মন সৎ এ ব্রহ্মে বিচরন করুক, কিন্তু শরীরকে গেরুয়া বা রংচং এ সাজাতে ব্যস্ত হইয়ো না। তাহলে মন শরীরমুখী হয়ে পড়বে। অহঙ্কার ত্যাগ কর, সৎ স্বরুপে অবস্থান করতে পারবে। " ~~~~~~ শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুলচন্দ্র।
" সৎ সঙ্গ, সৎ চেষ্টা, সৎ চিন্তা --- ইহাদের কোন টাই ব্যর্থ হয় না জানিও। অনুক্ষণ, সচ্চিন্তার মগ্ন থাক, অনুক্ষন সচ্চেস্তায় লগ্ন থাক, যত পার সৎসঙ্গ কর ।" ~~~~~~ শ্রী শ্রীমৎ স্বামী স্বরুপানন্দ।
" ধর্ম এমন একটি ভাব, যা পশুকে মনুষ্যত্বে ও মানুষকে দেবত্বে উন্নীত করে।" ~~~~~~ স্বামী বিবেকানন্দ।
" যে সাধনা করলে হৃদয়ে প্রেম আসে, তাই কর, আর যাতে ক্রূরতা, কঠোরতা, হিংসা আসে, তা আপাতত লাভজনক হলেও তার কাছে যেও না।" ~~~~~~ শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুলচন্দ্র।
" আত্মজ্ঞানে কিংবা নারায়নজ্ঞানে যথাসাধ্য জীবের সেবা করিও, পরের উপকার করিতে কুণ্ঠিত হইও না। প্রত্যক্ষ ধর্মত্যাগ করিলে আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ হয় না। জীব সেবাই কলির একমাত্র ধম্ম।" ~~~~~~ শ্রীমৎ স্বামী নিগমানন্দ পরমহংসদেব।
" মানুষের মরণ আমাকে বেশী আঘাত করে না, করে মনুষ্যতের মরণ দেখিলে।" ~~~~~~ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
" পুষ্পের পক্ষে পুষ্পত্ব যত সহজ, মানুষের পক্ষে মনুষ্যত্ব তত সহজ নহে।" ~~~~~~ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
" সাহিত্যে মানুষ নিজেরই অন্তরতম পরিচয় দেয় নিজের অগোচরে। যেমন পরিচয় দেয় ফুল তার গন্ধে, নক্ষত্র তার আলকে।" ~~~~~~ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
" প্রচেষ্টা, সাহস, ধৈর্য, বুদ্ধি, শক্তি ও বীরত্ব এই ছয়টি যেখানে থাকে, ভগবান সেখানে সহায়তা করেন।" ~~~~~~ ব্রিহদায়ন্যক উপনিষদ।
" অসত্য হতে আমাকে সত্যের পথে নিয়ে চল, অন্ধকার হতে জ্যোতির পথে পরিচালিত কর। মৃত্যু হতে আমাকে অমৃতের পথে নিয়ে চল।" ~~~~~~ স্বামী বিবেকানন্দ।
" এমন কাজ করে চল যে তুমি হাসতে হাসতে মরবে আর জগত তোমার জন্য কাঁদবে।" ~~~~~~ স্বামী বিবেকানন্দ।
" সকল ধর্মের মূল কথা মানুষ, মানুষের ভাল করতে ইশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করা যায়।" ~~~~~~ হজরত মহম্মদ।
" যত মত, তত পথ।" ~~~~~~ শ্রীরামকৃষ্ণ।
" আমি সতেরও মা, অসতেরও মা।" ~~~~~~ শ্রী শ্রী মা সারদা দেবী।
" ত্যাগ ও সেবা ভারতের জাতীয় আদর্শ।" ~~~~~~ স্বামী বিবেকানন্দ।
" সদর্পে ডাকিয়া বল ভাই ------ হে গৌরিনাথ, হে জগদম্ভে আমায় মনুষ্যত্ব দাও, মা, আমার দুর্বলতা কাপুরুষতা দূর কর, আমায় মানুষ কর।" ~~~~~~ দি সাইক্লনিক হিন্দুমাঙ্ক (বিশ্বপথিক বিবেকানন্দ) ।
" Truth is beauty, Beauty is truth. সত্যই সুন্দর, সুন্দরই সত্য।" ~~~~~~ Poet Kits (কবি কিটস)।
" প্রেম বিনে ভাব নাহি, ভাব বিনে রস। ত্রিভুবনে যত দেখ প্রেমহস্তে বশ। যার হৃদে জন্মিলেক প্রেমের অঙ্কুর। মুক্তিপদ পাইল সে সবার ঠাকুর। প্রেম মূল ত্রিভুবন যত চরাচর। প্রেমতুল্য বস্তু নাই পৃথিবী ভিতর। ~~~~~~ পদ্মাবতী কাব্যগ্রন্থ (কবি সৈয়দ আলাওল)।
খুব সুন্দর। এই উক্তি গুলি একটি মানুষের মন বদলে দিতে পারে। উক্তি গুলি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। আপনি আমার এই পোস্টটি দেখতে পারেনন - হিন্দু ছেলে শিশুদের সেরা নামের তালিকা ( অর্থসহ ) | Best Hindu Baby Name
ReplyDelete