ডায়েরীর পাতা থেকে - ৮ম। আমার জীবনের ভ্যালেন্টাইন , সরস্বতী পূজা ও পুলওয়ামা ঘটনার স্মৃতি। Unforgettable Memory of Valentine, Saraswati Puja Pulwama incident of my life
আমার জীবনের সরস্বতী পুজার অভিজ্ঞতা
তাং - ১০.২.২০১৯ (ইং)
আজ রবিবার, ছুটির দিন। আজ শুধুমাত্র ছুটির দিনই নয়, আজকের দিনটা বাঙ্গালীদের জন্য খুব স্পেশাল একটি দিন। স্পেশাল বলতে, একেবারে স্পেশ্যাল।
আজ বাঙ্গালীদের ভ্যালেন্টাইনস ডে, অর্থাৎ আজ বিদ্যার দেবী বীণাপাণি মা সরস্বতীর পুজো।
আজকের দিনটা এলেই কেমন যেন একটা আলাদা ফিলিংস মনে কাজ করে। মনে হয়, সেই ছোটবেলায় যেন ফিরে যাই, সেই দিনগুলো যখন ছোট ছোট হাফ প্যান্ট পড়ে, হাতে এক গোছা চাঁদার বিল, বাক্স আর পেন নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তোলা, রাত জেগে ঠাকুরের প্যান্ডেল বানানো, বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল, ডাল, তেল, নারকেল প্রভৃতি সংগ্রহ করা; পুজোর দিন ভালো জামাকাপড় পড়ে মা সরস্বতী মূর্তির সামনে করজোড়ে পুস্পাঞ্জলি দেওয়া, তারপর স্কুলে শাড়ি পড়ে, গয়না পড়ে সাজগুজ করে আসা ক্রাশ কে দেখে বুকের ভেতর ধুকপুকুনি।
তবে ধুকপুকুনিটা শুধু ক্রাশের জন্য হলেও বাকীদের জন্য আলাদা ফিলিংস কাজ করত। ফিলিংস বললে ভুল হবে, বাকি সুন্দরী রমণীদেরকে নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে মজা, হাসি - ঠাটটা হত।
আমার আবার কিছু বন্ধু ছিল যারা মেয়েদের সামনে গিয়ে টোন কাটত, কেউ আবার ওদের সাথে flirting করত। তবে আমি ছিলাম খুবই শান্ত - শিষ্ট, সাদা - সিধে ভালো ছেলে, এসবের দিকে একদমই এগোতাম না। নিজের ক্রাশকে কখনও প্রপোজই করতে পারিনি !!!!!! আর অন্যদের সাথেই বা কি flirting করব?
সে তো গেল সারাদিনের কথা, আর রাত্রি হলে পাড়ার পুজোয় খিচুরি ভোজন ।
ও !!! সে তো এক আলাদা অনুভুতি।
পরের দিন সকালে আবার স্কুল, তবে ক্লাসের জন্য নয়, মাছভাত খাবার জন্য। 😉😉😉😉😉😉
ঐ মাছভাত খাবার সময় তো দারুন মজা হত। সেই সব পুরানো দিনের কথাগুলো মনে পড়লে যেমন আনন্দ লাগে, হাসি পায়, তেমন কান্না ও পায়।
কান্না পায় এই ভেবে যে, কেন এত বড় হলাম? সেই দিনগুলো যে কোথায় হারিয়ে গেল......!!!!
সেই পুরানো বন্ধুগুলো ও কোথায় হারিয়ে গেল আমি বড় হতেই।
তখন ছোট ছিলাম, কত ভালো ছিলাম !
তখন এই বাইরের কঠিন দুনিয়াটা কে চিনতাম না। আর এখন শুধু ঐ কঠিন দুনিয়াকে চিনি ই না, ঐ দুনিয়ার জাঁতাকলে চাপা পড়ে আছি।
তাই তো ভাবি, কেন এত বড় হলাম?
সেদিনের সেই ছোট বেলাকার দিন আর আজকের এই দিন, যেন আকাশ - পাতাল তফাত।
আমি সেই ছোট বেলা থেকেই প্রতিটা সরস্বতী পুজোয় কোথাও না কোথাও পুস্পাঞ্জলি দেই আর খিচুড়ি খাই সে যেভাবেই হোক না কেন।
এ বছর ও ভেবেছিলাম তার কোন ব্যতিক্রম হবে না। কিন্তু যা ভেবেছিলাম, হল তার উলটো।
আজ সারাদিন না কোথাও পুস্পাঞ্জলি দিতে পারলাম, না খাওয়া হল খিচুড়ি।
সন্ধ্যায় খিচুড়ি খাবার জন্য সুইগি, উবের ইটস, জোমাটো, ফুড পাণ্ডা সব জায়গায় সার্চ করলাম, কিন্তু কোথাও দেখাচ্ছে সোলড কিংবা কোথাও দেখাচ্ছে আন এভেলেবেল।
আর কি করি? ভাগ্যের পরিহাস, মেনে টো নিতেই হবে। শেষে খেতে হল হাস্পাতালের ক্যান্টিনের সেই একি রোগীর খাবার।
এজন্য আজ সারাদিন মনটা খুবই খারাপ ছিল। মনে হচ্ছিল জীবনটাই বৃথা হয়ে গেল।
শুধুমাত্র এই খিচুড়ি খাবার জন্য নয়, নিজের ক্যারিয়ার, বাড়ির আর্থিক অবস্থা আর আমি বর্তমানে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, সেসব কথা ভেবে।
তার......পর হঠাৎ ইউটিউব এ কিছু মটিভেশনাল ভিডিও দেখলাম, সন্দীপ মাহেশ্বরি র স্পীচ দেখলাম, বিখ্যাত বাঙ্গালী পেনটার সঞ্জয় ভট্যাঁচারজ্য এঁর জীবন কাহিনী শুনলাম , চানক্য নীতি জানলাম। এসব দেখে মনে একটা নতুন জোশ এল। নতুন কিছু করার, কিছু করে দেখাবার এ দুনিয়াকে।
সেই উদ্দেশ্যে আজ থেকে এক নতুন উদ্যমে নিজেকে তৈরি করার একটা প্রচেষ্টা শুরু করলাম। জানি এই প্রোজেক্ট টাকে মাঝ রাস্তায় ছেড়ে দিলে চলবে না, এর পিছনে কঠোর শ্রম ও সময় দিতে হবে। তবেই সফলতার সিঁড়ির দোরগোড়ায় গিয়ে পউছাব। তাই আজ থেকে সেই কাঁটাভরা পথে আমার নতুন যাত্রা শুরু করলাম।
তাং - ১১/২/২০১৯ (ইং)
কাল ছিল সরস্বতী পূজা। অনেকে আনন্দ করেছে, অনেক স্পেশাল স্পেশাল খাবার খেয়েছে। আমার ভাগ্যে জদিও সেসব জোটেনি , তবে গত দুদিন ধরে বেশ ঘুমিয়েছি আর মোবাইলে নেট থেকে অর্থাৎ YOUTUBE, HOTSTAR, VOOT এগূলো ঠেকে যতসব হিজিবিজি ভিডিও দেখেছি।
তবে ...... সব ভিডিও যে হিজিবিজি ছিল তা নয়, অনেক ভিডিও খূব ভালো, যেমন কোনোটা Spiritual, কোনোটা Motivational আবার কোনোটা নতুন কিছু অজানা কাহিনীর ভিডিও ছিল।
তাই দু'দিনে যেমন খুব খারাপ তেমন ভালো ও কেটেছে। অর্থাৎ বলতে গেলে মাঝামাঝি।
বাচ্চাবেলায় ঐ বাংলায় ভাব সম্প্রসারন করতে গিয়ে পড়েছিলাম 'সময় চলিয়া যায়, নদীর স্রোতের প্রায়।' আমার এই ভালো - খারাপের দু'দিন চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই কেটে গেল। আবার শুরু হল আজকের দিনটা, সেই রোজকার ব্যস্ততা, ঘ্যান - ঘ্যান।
যদিও আজ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ছুটির দিন বলে ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু সরকারি ছুটির ঘোষণায় আমার কি আসে যায়???
আমি তো বেসরকারি কর্মচারী। আমার তো সাতদিন ২৪ ঘণ্টা ডিউটি।
এমন তো হতে পারে, আমার নিজের মরার খাটে বসেও হয়তো আমাকে ডিউটি করতে হতে পারে।
ডিউটির জন্য বাধ্য হয়ে আজ সকালে উঠতে হয়েছিল। সকাল বলতে ঐ সাড়ে দশটা। উঠে ফ্রেশ হয়ে, স্নান করে সেই চিরাচরিত দুরারোগ্য ব্যাধির ক্যান্টিন। দিন-রাত টাকার জন্য চেঁচামেচি, খেতে খেতে মাছি তাড়ানো যেখানে প্রতিদিনেরর রুটিন।
খেতে-খেতে, বাসের জন্য দাঁড়াতে দাঁড়াতে অফিস যেতে দেরী হয়ে গেল। গিয়ে দেখি অফিসে 'বস' পৌঁছে গেছেন। ভাব্লাম আজ হয়ত আমার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার হবে। এমনিতে আমার ম্যানেজার সাহেব আজ আসেননি, উনি এলে হয়ত এক্টু সুরাহা হত।
ভেবেই তো নিয়েছিলাম, আজ পাঁঠার বলি হবে, কিন্তু শেষমেশ মা কালির কৃপা হল বোধ হয়, বলির পাঁঠা সুস্থ শরীরে ফিরে গেল।
তবে হাতে না মারলেও ভাতে মারতে খুব ভালোই জানেন আমাদের 'বস'। এক দিনে এক গাদা রিপোর্ট, মেলের পর মেল এসব করাতে করাতে পুরো রাত্রি সাড়ে ন'টা বাজিয়ে দিলেন। মাঝে মাঝে দুটো ফুল-চন্দনের ছটা তো ছিল সাথে।
তবে আজ একটা জিনিস খুব ভালো করে শিখলাম, যারা খুব শান্ত, কম কথা বলে, সবকিছুকে মানিয়ে নিয়ে চলে, ঠিক আমার মত যারা, তাদেরকেই লোকে বেশী দুর্বল ভাবে।
আসলে ঐ চানক্যের একটা বানী আছে না! যাতে তিনি বলেছেন, "বনে সোজা গাছ গুলো আগে কাটা পড়ে, তারপর আঁকা - বাঁকা গাছ গুলো, তাই জীবনে খুব ভালো, বেশী শান্ত, সরল হওয়া টা অভিশাপ।
সত্যি বলতে এখন আমি এমন অবস্থায় পৌঁছে গেছি যে, খারাপ হতে চাইলেও হতে পারছি না, বিবেকে বাঁধছে। কাউকে সহজে না বলতে পারি না। জমানো কথা, ক্ষোভ, অভিযোগ গুলো গলা পর্যন্ত এসেও মুখ দিয়ে ফোটে না।
কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে?
কতদিন আর জেনে-শুনে ঠকব ? কতদিন আর মুখ বুজে সহ্য করব?
কতদিন আর নিজের আত্মসম্মান কে দূরে ঠেলে রাখব?
এবার তো নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে? কিন্তু কিভাবে???
তাং - ১২/২/২০১৯ (ইং)
আজ মঙ্গলবার, আজ আমার জীবনে তেমন কোন Special কিছু ঘটেনি।
এখন ভ্যালেন্তাইন সপ্তাহ চলছে। সামনে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, অনেকের মনে এখন বসন্তের ফুল ফুটছে, কেউ আবার জেগে জেগে রঙ্গিন স্বপ্ন দেখছে।
কিন্তু তাতে আমার কি আসে যায়?
আমি তো আগে যে তিমিরে ছিলাম, আজও সেই তিমিরে আছি। শুধু আছি বললে হবে না, প্রবল আর্থিক ও মানসিক চাপে আছি।
আজ সকাল থেকে একটা কথা খুব মনে ঘোরা - ফেরা করছিল; এতদিন ধরে একটা জিনিস আমি উপলব্ধ করলাম যে, সবাই আমার কাছ থেকে শুধু পেতে চায়, কিন্তু কেউ আমায় কিছু দিতে জানে না।
মাঝে মাঝে এই নিষ্ঠুর সমাজের অত্যাচারে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ি, আবার ক্লান্তি কাটিয়ে নতুন করে জেগে উঠি, জানিনা কোন অদৃশ্য শক্তিতে।
তবে ভগবানের কাছে সর্বদা এই প্রার্থনা করি যে, আমার হাত যখনই উঠে তা যেন শুধু দেবার জন্যই উঠে, নেবার জন্য নয়।
তাং - ১৩/২/২০১৯ (ইং)
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেক দেরী হয়ে গেছিল। দেরী বলতে সে অনেক দেরী। এমনিতে তো অনেক রাত জাগার পর ভোরের দিকে ঘুমাই। আর রাত্রে তাড়াতাড়ি ঘুমালেও তো সেই একই, ভোরের দিকে ঘুম আসে। 😌😌😌
তাই আমার জন্য রাত্রে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেয়ে রাত জেগে ভোরের দিকে ঘুমানোই শ্রেয়। আর এই ভোরের দিকে ঘুমানোর ফলস্বরুপ স্বাভাবিক ভাবেই ঘুম ভাঙতে একটু দেরী হয়। আজ তো একটু বেশিই দেরী হয়ে গেছিল। সকাল সাড়ে দশটার দিকে, এই সময়টা আদৌ সকালের মধ্যে পড়ছে কিনা সেটাই সন্দেহাতীত। 😄😄😄😄😄😄
তাও আবার স্বেচ্ছায় ঘুম বাবাজী আমাকে ছাড়েনি। আমার রুমমেটের অনবরত মেঘ গর্জনের প্রত্যুত্তরে ঘুম বাবা সমাধি থেকে জেগে ওঠেন।
এ তো ভালো ছিল, ঘুমিয়ে ছিলাম, না ছিল কোন চিন্তা, না মানসিক চাপ।
ঘুম থেকে উঠতেই মাথায় আনাগোনা শুরু করল, আজ ক্যান্টিনে টাকা দিতে হবে? কিভাবে দেব ?
ঘুমিয়ে থাকি, এক অন্যজগতে পুরোপুরি চিন্তামুক্ত থাকি। ঘুম ভাঙলেই আবার নিজের সাথে নিজের লড়াই। এভাবেই জীবন - যৌবন সব বৃথাই গেল।
কিন্তু শুধু চিন্তাতেই তো আর কারজ সিদ্ধি হবে না, তাই উঠে সব কিছু ম্যানেজ করতে হল।
তবে আজ একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম, আজ যতটা আমার লড়াইটা কঠিন হবে বলে ভয় করেছিলাম, ততটা হল না। এর মানে আজ জীবন টা যে সহজ ছিল তাও নয়। আর সহজ জীবনও আমি কখনও কামনা করি না।
জীবন মানেই তো লড়াই, এই লড়াই করে, প্রত্যেকটা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে, তাকে জয় করলেই তো আসবে সাফল্য।
আমার হৃদয়ে গেঁথে থাকা ভ্যালেন্তাইন ডে ও পুলওয়ামা কাণ্ডের স্মৃতি।
তাং - ১৪ / ২ / ২০১৯ (ইং)
আজ ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ ভ্যালেন্তাইন্স ডে, ভালোবাসার দিবস। কিন্তু সত্যিই কি ভালোবাসার জন্য একটা নির্দিষ্ট দিন যথোপযুক্ত?
আমার মতে, ভালোবাসা না কোন দিন, ক্ষণ, সীমার মধ্যে আবদ্ধ; ভালোবাসা অসীম। একে শুধু একটা দিন দিয়েই ধরে রাখা যায় না। সত্যিকারের ভালবাসলে প্রত্যেকটা দিন ই ভালোবাসার দিন; আর ট্রু লাভ না থাকলে কোন দিনই ভালোবাসার দিন নয়।
কিন্তু মানুষ এখন এই একটা দিন নিয়েই মেতে আছে। এতটাই আজকের দিনটা নিয়ে মেতে আছে যে, তারা ভুলেই গেছে যে আজকের দিনেই কোন বীর শহীদ হয়েছিলেন।
আজকের দিনটাই পর্যালোচনা করা যাক না! আজ ভালোবাসার দিন; সবাই খুশিতে উদযাপন করছে। অথচ আজকেই জন্মু - কাশ্মিরে পুলয়ামা তে মুজাহিদিন জঙ্গিদের হাতে ৪০ জন বীর জওয়ান দের শহীদ হতে হল। কিন্তু কতজন এটা নিয়ে আলোচনা করেছে। বেশিরভাগই নিজেদের নিয়ে এতটা ব্যস্ত যে, যারা আমাদের প্রাণ দিয়ে রক্ষা করছে তাঁদের ব্যাপারে একটুও ভাব্বার সময় নাই।
আমার সবচাইতে দুঃখ হয় ঐ জঙ্গিদের কথা ভেবে, যাদের ব্রেন ওইয়াশ করে এক একটা পৈশাচিক মানসিক রোগী বানানো হচ্ছে। তাঁদের মতে হত্যা করলেই নাকি ওদের উপরওয়ালা খুশি হয়, ওরা জন্নত লাভ করবে।
কোন ধর্ম গ্রন্থে এটা লেখা আছে শুনি ?
লোকে বলে আমরা হিন্দুরা নাকি মূর্তি পুজা আরও অনেক কুসংস্কার নিয়ে থাকি, তবুও বরং আমরা অনেক ভালো। কিন্তু যারা ঐ ধর্মের গোঁড়ামিকে আঁকড়ে ধরে প্রতিদিন মানুষের লাল খুন দিয়ে দিনটা শুরু করে তারা কতটা অজ্ঞ, পাপী ? তাঁদের ধর্ম টা কি? তাঁদের ধর্ম টা না হয় বাদ ই দিলাম।
কিন্তু যারা প্রত্যক্ষ ভাবে সন্ত্রাসবাদে যুক্ত না থেকেও পরোক্ষ ভাবে ওদের মদত দেয়, জঙ্গিরা ধরা পড়লে ওদের মানবধিকার নিয়ে চিৎকার করে, একটা জঙ্গি জওয়ানের হাতে মারা পড়লে ওদের শহীদের সম্মান দেয়, আমি জানতে চাই ওদের ধর্ম টা কি?
দেশ থেকে যদি ঐ সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে হয়, তাহলে এই দুমুখো সাপদের ওদের গর্ত থেকে বের করে নিঃশেষ করতে হবে, যারা আমাদের ভারতের খায়, ভারতের পড়ে আর মদদ দেয়, সহমর্মিতা দেখায় ঐ পাপী, অধর্মী জঙ্গিদের।
তাং - ১৫/২/২০১৯ (ইং)
ভালোবাসা দিবস গত। এভাবে ২৪ টা ভালোবাসা দিবস আমার একা একাই কেটে গেল। হ্যাঁ, তবে মাঝে সম্ভবত দুটো দিবস দোকাই ছিলাম। 😆😆😆
তবে টা থেকেও না থাকার মত। তাই বলছি ২৪ টা দিবস। না জানি, আর কতটা দিবস এইভাবে একা একা কাটাতে হবে?
তবে একা আছি, ভালো আছি, নইলে খরচ বাড়ে!
দুঃখের বিষয় একটাই , এ ভালোবাসার দিনে এতো বড় একটা জঘন্য ঘটনা ঘটে গেল। কাশ্মিরের পুলওয়ামা তে প্রায় ৪৩ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়ে গেল ঐ শুয়রের বাচ্চা জঙ্গিগুলোর জন্য।
কিসের জেহাদি ওরা? জেহাদ কি ওরা কিছু বোঝে? ঐ কটা অশিক্ষিত মুসল্মান গুলোর জন্য পুরো মুসল্মান জাতির বদনাম হচ্ছে।
কাল ফেসবুকে এক বন্ধুর পোস্টটা পরছিলাম, তাতে লেখা ছিল এই জঘন্য কাজটা যে জঙ্গি সঙ্ঘটন করেছে তার নাম হল 'মুজাহিদিন'। ঐ নামের অর্থ হল 'মহম্মদের সেনা'।
ওরা কি আদৌ চেনে মহম্মদকে? আদৌ কি জানে উনার আদর্শ? ওদের কাছে ধর্ম নয় অধর্ম টাই হল আসল ধর্ম।
তবে ভালো লাগছে এটা নিয়ে সবাই নানান মন্তব্য করছে। কেউ বলছে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করতে, কেউ বলছে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে পাকিস্তান কে মুছে দিতে।
কিন্তু এগুলো যতটা বলা সহজ, করা কি আদৌ ততটা সহজ? যারা যুদ্ধ করে তারা জানে যুদ্ধ টা কি?
আমরা তো শুধু বসে কমেন্ট করতে জানি। তবে আশা করব আমাদের সরকার কোন কড়া জবাব দেবে ঐ ূূTerrorist দের ও তাদের আশ্রয় দাতা দেশকে।
তাং - ১৬/২/২০১৯ (ইং)
আজ শনিবার। আজ আমি অনেকদিন পরে আবার ক্যান্টিনে খেতে গেলাম।
কেন জানিনা?
এতদিন ধরে থানার ক্যান্টিনে যেতে খুব দ্বিধাবোধ করত, ভয়ে নাকি অন্য কোন কারনে, কে জানে?
পুলিশ কে এমনিতে সবাই কম বেশী একটু ভয় পায়, কিন্তু আমার হয়তো অতিরিক্ত একটু ভয় কাজ করে। হয়তো পুরানো সেই অভিজ্ঞতার জন্য।
ঐ যে একবার অফিসের কাজে বর্ধমানের কাটোয়া তে গেছিলাম। আর এক ঘণ্টা থানায়্ বিনা দোষে বসে থাকতে হয়েছিল।
তেমন কিছু না, শুদুমাত্র থানার একটু ফটো তুলতে চেয়েছিলাম। যে অফিসার ডায়েরি লেখে অর্থাৎ কমপ্লেন্ত জমা নেয়, তিনি তো অনুমতি দিয়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু কেলো করল বড় বাবু। ছবি তুলছি দেখতে পেয়ে একেবারে জাপটে ধরে একঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখল।
আরও ভয় পেয়ে গেছিলাম তখন, যখন একজন হাবিলদার ভুলবশত আমাকে অন্য আসামীর পরিবর্তে কয়েদী লকারে ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন।
সেই ভয়টা হয়তো এখনও কাজ করে। তাই হয়তো ঐ ভয়ে কখনও থানামুখো হইনি।
তবে আমার মনে হয়, ঐ ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত আর ভয়টাকে কাটিয়ে ওঠা উচিত। কারন, ভয় মানেই মৃত্যু।
আজ অফিসটা ভালো মতই কাটল। ভেবেছিলাম আজ হয়তো স্যার আমার আসাম যাবার এক্সপেন্স টা দেবেন না। কিন্তু স্যারকে কিছু বলতেই হয়নি, স্যার নিজে থেকেই ডেকে দিলেন। আর আমিও অফিসে নিজের কাজ শেষ করে বেরিয়েছি, হয়তো একটু দেরী হয়ে গেছিল!!!
সারাদিন অফিসের কাজে তো কোন খবর পড়তে পারি না। সেই অফিস থেকে মেসে ফেরার সময় মোবাইলে নিউজ আয়াপে নিউজটা পড়ি। নিউজে এখন পুলওয়ামা কাণ্ডটা পুরো ছেয়ে গেছে। সত্যি খুবই জঘন্য একটা ঘটনা। এই ঘটনার মাথা মাসুদ আজহার একটা কসাইয়ের চাইতে অধম।
খবরে আজ পড়লাম সিধু পাজীর কপিল শর্মার শো থেকে নিস্কাশন একটা বিতর্কিত মন্ত্যব্যের জন্য।
মন্ত্যব্যটা আমি পুরোপুরি সমর্থন না করলেও, আমি জানি যে, উনি হয়তো কথাটাকে অন্য ভঙ্গিতে বলতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু উনি মন্তব্য করার আগে ভুলে গেছিলেন যে, একটা গাছে দশটা পোকা ধরা ফল আর দুটো ভালো ফল থাকলেও লোকে দুটো ভালো ফলের জন্য নয়, ঐ দশটা পোকা ফলের জন্য গাছটাকে পোকা গাছ বলবে।
আমি মানি যে, পাকিস্তানের সব জনগন ভারত বিরোধী নয়, সন্ত্রাসবাদী নয়। কিন্তু ঐ গুটিকতক ঘুণধরা অসামাজিক লোক গুলোর জন্য পুরো পাকিস্তান দেশটা আজ অধঃপতনের মুখে। ঐ কথায় আছে না, 'দশ চক্রে ভগবান ও ভুত হয়'। এখানেও ঠিক সেরকম। দশটা ঘুন ধরা অসামাজিক মূর্খ, গোঁড়া সন্ত্রাসবাদীদের জন্য শুধু পাকিস্তানই নয়, গোটা ইসলাম ধর্মটাই আজ কলঙ্কের দাগে দুষিত।
আর আমাদের রাজ্যের কথা কি বলব?
যারা সামান্য মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসকে আটকাতে পারে না, তারা আজ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করছে, সত্যি হাসি লাগে। সত্যি সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ......!!!!! 😁😁😁😂😂😃😃😃😄😄😄
আশা করব শীঘ্রই ভারত সরকার আমাদের ৪২ জন জওয়ানের মৃত্যুর বদলা নেবে।
তাং - ১৭/২/২০১৯ (ইং)
আজ রবিবার, ছুটির দিন। সবার জন্য ছুটির দিন; সবারই বলতে বেশিরভাগেরই আজ ছুটি। কিন্তু আমার কোন ছুটি নেই।
আজ আমার ক্লাস ছিল টালিগঞ্জে ভিডিও এডিটিং এর। আজ অনেকদিন পরে আবার ক্লাসে গেলাম। সেই ২০ ই জানুয়ারি গেছিলাম, তারপর আজকে !!! মাঝে কয়েকদিন পরীক্ষা, আমার আলসেমি আর সরস্বতী পুজার জন্য যেতে পারিনি। আশা করছি এবার রেগুলার ক্লাসে যাব।
প্রথমদিন ক্লাসটা সেভাবে ভালো না লাগলেও, আজকে ভালোই লাগল। স্যার ভালভাবে বোঝালেন। আর আমিও ভালভাবে বুঝতে পারলাম।
আজ টালিগঞ্জের ক্লাস থেকে ফেরার পথে কিছু ঘটনা থেকে বুঝতে পারলাম যে, পুলওয়ামা কাণ্ডটা দেশে খুব ভালোরকম প্রভাব ফেলেছে। এটা দেখে অন্তত ভালো লাগছে যে, বাংলার মানুষের মনে অন্তত দেশপ্রেম তো জেগেছে।
মোমবাতির মিছিল, কালো ব্যাচ, কালো পতাকা আরও কত কীর মিছিল চলছে এখন !!!!!!
আর পাবলিসিটির জন্য কত লোকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কতরকম পোস্ট, কমেন্ট করে চলেছে। সেলিব্রিটি, শিল্পপতিরা নানান দান-ধ্যান করবে বলে ঘোষণা করেছে।
এত কিছুর মধ্যে ভারত সরকারের একটা পদক্ষেপ আমার খুব ভালো এবং উচিত বলে মনে হয়েছে। সেটা হল পাকিস্তানকে হাতে না মেরে ভাতে মারার প্রচেষ্টা। এই যে M F N তকমা পাকিস্তানের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া, পাকিস্তানি পণ্যের ওপর ১০০% শুল্ক বাড়ানো, পাকিস্তানি সেলিব্রিটি দের ভারত থেকে তাদের স্বদেশে পাঠিয়ে দেওয়া, পাকিস্তানি ক্রিকেটের সম্প্রচার টিভিতে বন্ধ করে দেওয়া, Dream11, Crickbuzz প্রভৃতি থেকে PCB League এর খেলাকে সরিয়ে দেওয়া, ইউটিউব থেকে পাকিস্তানী গায়ক দের গানের ভিডিও ডিলিট করে দেওয়া - যেটা টি সিরিজ করেছে।
এরপর পাকিস্তান হাড়ে হাড়ে টের পাবে 'কত ধানে কত চাল?', ঐ জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া, মাথায় তুলে রাখার ফল এবার তারা হাতে নাতে পাবে।
ভারত না থাকলে পাকিস্তানের কোন চিহ্নই থাকত না, এবার তারা টের পাবে।
পাকিস্তানীরা আমাদের বলিউড মুভি দেখে, ছোট থেকে বড় হয়েছে, ওদের দেশের সেলিব্রিটিরা আমাদের দেশে এসেই বিখ্যাত হয়েছে।
আমাদেরই খেয়ে পরে আমাদেরই বিরুদ্ধে বন্দুক তোলার সাহস কোথায় পায় ওরা ?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সেনা বাহিনী দের কাছে আমার অনুরোধ, পাকিস্তান কে এমন চরম শিক্ষা দেওয়া হোক, যাতে তারা আর কখনও মাথা চাড়া দিতে না পারে।
তাং - ১৮/২/২০১৯ (ইং)
দেখতে দেখতে কয়েক ঘণ্টা উত্তীর্ণ হয়ে গেল। আবার একটা সোমবার, আবার সেই একঘেয়েমি কাজ। আজ আবার কাজের চাপ খুব বেশী ছিল। কালকে আসাম যেতে হবে অফিসের কাজে, তাই আজ একটা বড় রিপোর্ট পুরোটা টাইপ করতে হল।
আজ অফিসে পৌঁছতে দেরী হয়ে গেছিল। তাই পুরোটা টাইপ করতে পারিনি। বাকীটা কালকে টাইপ করব। তারপর অফিস থেকে তৈরি হয়েই রওনা দেব আমার গন্ত্যব্যে, অর্থাৎ হাওড়া স্টেশনে গুয়াহাটি যাবার জন্য সরাই ঘাট এক্সপ্রেস ধরতে।
কেন জানিনা, মনে হচ্ছে আসামে হয়ত আমার জীবনের কোন এক নতুন পাতা খুলে যেতে পারে, অর্থাৎ কোনো নতুন সম্পর্কের সুচনা হতে পারে।
এমনটা কি আদৌ হতে পারে?
কে জানে?
জানিনা ভবিষ্যতের গর্ভে কি লুকিয়ে আছে?
কেই বা জানে?
আশা করব, বাবা লোকনাথ আমার জন্য যা কিছু করবেন, সব মঙ্গলের জন্যই করবেন।
তাং - ২৪/২/২০১৯ (ইং)
গত ১৯/২/২০১৯ (ইং) থেকে ২৩/২/২০১৯ (ইং) পর্যন্ত আমার কোনো ডাইরি লেখা হয়নি। ডাইরি লেখা সম্ভব ই হয়নি।
তবে তার একটা কারণ আছে,; কারণ টা হল, ঐ দিনগুলি তে আমি অফিসের কাজে আসামে যাওয়া, কাজ করা ওখানে এবং অবশেষে পুনরায় কলকাতায় ফিরে আসা -- এ সব নিয়েই খুব ব্যস্ত ছিলাম। একদম সময় ই পাইনি।
এই 'সময় ই পাইনি' - কথাটা ঠিক নয়, এটা একটা অজুহাত মাত্র।
ভগবান আমাদের দুটি হাত দিয়েছেন - ডান হাত আর বাম হাত। আর ভগবানের তৈরি সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষ তার নিজের সুবিধার্থে এই দুটো হাত ছাড়াও আরও একটা হাত বানিয়ে নিয়েছে, সেটা হল 'অজুহাত'।
এই অজুহাত আসলে নিজের অসফলতাকে লুকিয়ে রাখার একটি মাধ্যম মাত্র। এই অজুহাত দিয়ে নিজের কাছে কিংবা অপরের কাছে নিজের অসফলতা কে লুকিয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়া যায়।
নইলে, ভগবানের তৈরি এ সুন্দর দুনিয়ায় তিনি সবার জন্য তো একই সময়ের সীমা নির্ধারিত করেছেন। অর্থাৎ, একদিন = ২৪ ঘণ্টা। সবার জন্য এই আক্তাই নির্ধারিত সময়। এই সময় সীমার মধ্যে আমি একটা কাজ ঠিকভাবে সম্পূর্ণ করতে পারি না, আর অন্যদিকে মুকেশ আম্বানি, বিল গেটস প্রমুখ সফল ব্যক্তিরা এই একই সময়ে হাজার কেন লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের গতি নির্ধারিত করছেন। কারণ তাঁরা আমার মত অলস নন। তাঁদের কাছে আমার মত প্রত্যেকটা অসফলতা ঢাকার জন্য কোনো অজুহাত নেই। তাই তো তাঁরা সফল আর আমি অসফল।
তবে যাই হোক, এই অসফল মানুষটা যে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে অসফল, কিন্তু সে নিজের বিচিত্র বিচিত্র অভিগ্যতা অর্জনে সফল।
আজ পর্যন্ত আমি জীবনে বহু বিচিত্র বিচিত্র অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি কিন্তু সেগুলো আমার বাস্তব দৈনন্দিন জীবনে কখনও কার্যকর করতে পারিনি।
তবে এই কদিন যে ডাইরি লিখিনি,, সেই কয়েকদিনে অনেক নতুন নতুন ঘটনা ঘটেছে আমার জীবনে, অনেক নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সেগুলো তো সব বিস্তৃত ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে যেগুলো অর্থাৎ যে ঘটনাগুলো আমার মনে বেশী করে দাগ কেটে গেছে, সেগুলোই ভাবছি ডাইরির পাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখব, যাতে সেগুলো ভবিষ্যতে পড়ে নিজেকে আবার কখনো ফিরে পাই।
ভাবছি আজ আর লিখব না। কাল অফিস আছে, অনেক রাত ও হয়েছে, তাই পুরানো স্মৃতি গুলো আলাদা আলাদা দিনে আলাদা আলাদা ভাবে তুলে রাখবো।
তাং - ২৫/২/২০১৯ (ইং)
একটা বিশ্রামের পরে আবার একটা নতুন শুরু। অর্থাৎ একটা রবিবারের পরে আবার একটা সোমবার। আবার সপ্তাহের ছয়দিন কাজ আর কাজ। সপ্তাহের সাতদিনের মধ্যে এই রবিবার টা না থাকলে বোধ হয় জীবনটা কেমন যেন একটা একঘেয়েমি হয়ে যেত।
আজ কিন্তু সারাদিন বৃষ্টি ছিল, কাল মধ্যরাত্রি থেকেই শুরু হয়েছিল ঝড়, আর আজ সারাদিন চলেছে। আজ তাই অফিসে একটু দেরী করে পৌঁছেছি। স্যার ও একটু দেরী করে এসেছিলেন।
আজকাল স্যার আমার সাথে খুব ভালো ব্যবহার করছেন।
কেন কে জানে?
হয়তো আমার কাজে তিনি সন্তুষ্ট, কিন্তু এতদসত্বেও আমার না বেতন বাড়ছে, না কোনো সমস্যার সমাধান হচ্ছে। আগে যে তিমিরে ছিলাম, আজও সেখানেও আছি।
ভাবছি আমার টিহু যাবার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা ভ্রমন কাহিনী লিখব। তবে তার জন্য অনেক গবেষণা করতে হবে।
সময় ই পাচ্ছি না !!!!!! তবে চেষ্টা করছি.....................।।।
তাং - ২৬/২/২০১৯ (ইং)
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি, আকাশ্টা মেঘলা। হাল্কা হাল্কা ঠাণ্ডা লাগছিল, যেন একটা ঘুমের পরিবেশ। অফিস যেতে ইচ্ছা করছিল না। কিন্তু কি করি ? একান্ত বাধ্য হয়েই অফিস যেতে হল।
মনটা একটু খারাপ ছিল এই ভেবে যে, এরকম ভালো একটা ঘুমের পরিবেশে একান্ত বাধ্য হয়েই অফিস যেতে হচ্ছে।
কার না মন খারাপ হয় এতে?
অফিস যাবার পথে দৈনন্দিন রুটিনের মত বাসে বসে আমার মোবাইলে নিউজ আয়াপ থেকে নিউজ গুলো পড়ার জন্য স্ক্রল করছিলাম। হঠাৎ একটা খবরে চোখ পড়তেই চমকে উঠলাম। আর কয়েকটা লাইন পড়তেই মনটা গর্বে ও আনন্দে নেচে উঠল।
খবরটা ছিল আমাদের ভারতীয় বায়ু সেনা পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রন রেখা অতিক্রম করে পাঁচটা জঙ্গি ঘাঁটিতে, যেগুলো পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি প্রশিক্ষন শিবির বলে পরিচিত ছিল; সেখানে ১০০০ কেজির বোমা আকাশ থেকে বর্ষণ করেছে আর যার ফলস্বরূপ সরকারী হিসেবে প্রায় ৩০০ জন জঙ্গি মারা গেছে।
সরকারী হিসেব যদি এটা হয়, তবে বেসরকারি হিসেব কত হবে কে জানে?
এমনটা হওয়া একটা উচিত ছিল। ঠিক যেন মার্কিন সেনার লাদেন কে হত্যা করার দিনটা মনে পড়ে যাচ্ছে। ঠিক সেইরকম একদম ভোর রাত্রে অতর্কিত আক্রমন। শত্রুপক্ষও আক্রমন প্রতিহত করারই সময় পায়নি............
এরকম একটা ঘটনা ঘটানোর জন্য স্যালুট জানাই আমাদের ভারতিয় বায়ুসেনা কে।
আমি গর্বিত যে আমি ভারতবাসী। আমরা যেমন ক্ষমা করতে জানি, তেমন প্রয়োজন পড়লে আমরা আক্রমন ও করতে জানি। আমাদের ও একটা সহ্যের সীমা আছে। আর সেই সহ্যের সীমা একবার অতিক্রম করলে পরবর্তী ঘটনা খুব ভয়াবহ ফলের আকার ধারণ করে।
তবে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মোদিজীর যুদ্ধ নীতির প্রশংসা না করেই থাকতে পারছি না। প্রথমে পাকিস্তানের কাছ থেকে এম এফ এন মর্যাদা কেড়ে নেওয়া, তারপর পাকিস্তানী পণ্যের ওপর ২০০% শুল্ক বাড়ানো, টমাটো রপ্তানি বন্ধ করা, এরকম আরও কত কিছু করে প্রথমে শত্রুকে হাতে না মেরে ভাতে মারার প্রচেষ্টা।
আর তারপর সরাসরি অতর্কিত আক্রমণ, যাতে শত্রুপক্ষ ঘুরে দাঁড়ানোর সময় না পায়।
আমার ভাষায়, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদিজী এযুগের চানক্য, সেরা কূটনীতিবিদ।
জিও মোদী !!! জিও !!!.........।।
Post a Comment