'শৈশবের বনভোজন' - বনভোজন নিয়ে একটি কবিতা। Bonvojon niye bangla kobita| Poem on feast
পুজো শেষ হবার পর যখন একটু একটু করে শীত পরে, তখন হেমন্তের হালকা হিমেল হাওয়া, শিউলি ফুলের গন্ধ প্রভৃতি আমাদের জীবনে কিছুদিনের জন্য এসে চলে যায়, ঠিক যেন কোনো অতিথির বাড়িতে এসে আনন্দ দিয়ে হটাৎ করে মন খারাপ করে চলে যাওয়া।
তারপর আসে সর্বত্যাগী শীত। শীত এলেই বাড়ির খাটের ওপারে থাকা টেবিল ফ্যান টা স্থান নেয় খাটের নিচে, আর বাক্স বন্দী লেপ, কম্বল তাদের আসামী দশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বচ্ছন্দে স্থান নেয় আমাদের বেডরুমে।
এ তো গেল শীতের আগমনী, কিন্তু শীত টা একটু জমলে সবার আগে আমাদের মনে পড়ে বনভোজনের কথা। আমরা এখন এই বয়সে এসে তো বনভোজন করি, তবে সেই ছোটবেলাকার বনভোজন কী কারোর মনে পড়ে? সেই দুস্টুমি, ঝগড়া, চাঁদা তোলা, বাবার হাতে মার খাওয়া, মায়ের বকুনি আর সাথে অনেক অনেক হয়-হুল্লোড়, আনন্দ। সেই পুরনো দিনের বনভোজনের রোমন্থন করতে গিয়ে হটাৎ সামনে ডায়েরিটা দেখে তাতে লিখে ফেললাম দু'ছত্র কিছু পুরানো সেই হারিয়ে যাওয়া দিনের স্মৃতি, যা প্রকাশ পেল এই ছোট্ট একটি কবিতা রূপে।কবিতাটি পড়ে কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
শৈশবের বনভোজন
~ কবি সৌরভ
'বনভোজন' নামটা শুনলে
সেই পুরনো দিনের কিছু কথা।
সেই শৈশবের সবাই মিলে চাঁদা তোলা,
নারকোলের মালাতে ভাতের -
রান্নাবাটি খেলা।
বড় দিদির গিন্নী সেজে
খাবার পরিবেশন,
আর, আমাদের বাড়ির কর্তার অভিমান।
তারপর ঝগড়া শুরু,
কোনো 'পান থেকে চুন খসা'র কথাতে।
ভাই-বোন-বন্ধুদের লড়াই,
মায়ের হাতের পিটুনি,
দিন শেষে বাবার কাছে নালিশ,
কান ধরে ওঠ-বোস,
সবশেষে একসাথে মিলে-মিশে
উদযাপন কেকের উৎসব।
Post a Comment