" সেই ধন্য নরকুলে, লোকে যারে নাহি ভুলে, মনের মন্দিরে সদা সেবে সর্বজন । " ।। Sei dhonyo norokule, loke jare nahi vule, moner mondire soda sebe sorbojon.
এ পৃথিবীতে প্রকৃতির নিয়মে মানুষ জন্মগ্রহন করে। আবার যথাকালে করে মৃত্যুবরণ। তাই দেখা যায় মহৎ ব্যক্তিরাও বর্তমানকে বড় করে না দেখে বৃহত্তর আদর্শে জীবনকে উৎসর্গ করেন। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ জীবনের অধিকাংশ সময়ই ব্যয় করেন শুধু প্রাণধারণের জন্য।
মহৎ ব্যক্তিরা উপলব্ধি করে থাকেন যে , মানুষ অমৃতের পুত্র। তাই তাঁরা শুধু প্রাণধারণের গ্লানি নিয়ে বাঁচতে চান না, বরং এই স্বল্পায়ু জীবনেও এমন কিছু করে যেতে চান যা সর্বকালীন মানুষের অন্তরে সম্মানলাভ করে। এইভাবে তাঁরা আমাদের বুঝিয়ে দিয়ে যান , মানুষ তার কীর্তির মধ্যেই অক্ষয় আসন লাভ করতে পারে। যে মানুষ জীবনকে আদর্শ পথে পরিচালিত করতে পারে সেই স্থান পায় মানব ইতিহাসে , সম্মানীয় , পূজনীয় ও বরণীয় হবার বিরল সৌভাগ্যতার । অমরত্ব লাভের তথা মানুষের মনের মন্দিরে আসন লাভের এই একমাত্র পথ। সুতরাং শুধু দিনযাপনের গ্লানি নিয়ে নয় , যথার্থ কীর্তির অধিকারী হয়ে, মানুষের অন্তরে সদা জাগরুক হয়ে থাকার প্রচেষ্টাই যথার্থ আদর্শ হওয়া বাঞ্ছনীয়।
Post a Comment