Header Ads

"জীবনের মূল্য আয়ুতে নহে, কল্যানপুত কর্মে।" || 'The value of life is not for only age, It is for good work.'


মানুষের জন্ম যেমন প্রাকৃতিক নিয়মে ঘটে মৃত্যুও তেমনি একদিন স্বাভাবিক ভাবেই এসে জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা করে। অর্থাৎ, মৃত্যু জীবনের স্বাভাবিক পরিণতি; সুতরাং মৃত্যুতে ব্যক্তির কোনো কৃতিত্ব থাকতে পারে না, কিন্তু কর্মই মানুষকে চিরদিন অমর করে রাখে।







শাস্ত্রে আছে – "বহুজন সুখায়েচ, বহুজন হিতায়েচ ।" – অর্থাৎ সবার সুখে যে সুখী, সবার দুঃখে যে দুঃখী এবং যে সবাইকে কল্যাণ করে সেই একমাত্র প্রকৃত মানুষ।



সমাজের অধিকাংশ মানুষই সংকীর্ণ স্বার্থের গন্ডীতে জীবনের নির্দিষ্ট আয়ু কাটিয়ে মৃত্যুবরণ করেন – মৃত্যু তাদের পার্থিব জীবনের সব কিছুকেই মুছে দেয়। অনন্তকাল ধরে কত শত স্বার্থানেসি মানুষ কালের গর্ভে লীন হয়ে গেল, জগতের স্মরণ পটে তাদের ক্ষুদ্র চিহ্নটুকু কোনো রেখাপাত করল না – পক্ষান্তরে কল্যাণের জন্য, কর্মের জন্য পরস্বার্থে প্রাণ দান মানুষকে অমর করে রাখে। উদাহরণস্বরূপ – রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, চৈতন্য মহাপ্রভু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ। তাই 'মৃত্যু' ও 'কর্মের জন্য প্রাণদান' উভয়ের দ্বারা পার্থিব জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটলেও একে অপরের সমার্থক নয়। 
আত্মোৎসর্গীকৃত প্রাণ চিরস্মরণীয় ও চিরবরনিয় – আত্মত্যাগে মহামানবের দৈহিক অবসান ঘটলেও তা জীবনের জয়গানই ঘোষণা করে। মানব কল্যানে যাঁরা স্বার্থকে তুচ্ছ মনে করে নিজেকে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা তাদের মহৎ চিন্তা ও কর্মধারার মধ্যে চিরকাল বেঁচে থাকেন – যুগযুগান্তরে এঁরা কালজয়ী।


No comments