Header Ads

ডায়েরির পাতা থেকে - ১ম ।। Dayerir Pata Theke - Prothom || From the Page of Diary - 1st

তারিখ  -- ইং ০১.০২.২০১৯

অনেকদিন থেকে আমার প্রতিদিনের ডায়েরী লেখার খুব ইচ্ছে ছিল। আগে ছোটবেলায় লিখতাম, সেই যখন ক্লাস নাইনে কিংবা টেন -এ পড়তাম। তারপর অনেকদিন ধরে আর ডায়েরী লেখা হয়নি।
কলকাতায় এসে কলেজ লাইফ এবং কলেজ লাইফ গুলো অতিক্রান্ত করার অনেক বছর পরে , খুব সম্ভবত ২০১৮ সালে হয়ত একটা খুব বড় সাইজের ডায়েরী কিনে তাতে ইংরেজিতে খুব বেশী দু'দিন কি তিন'দিন মত লেখালেখি করেছিলাম। তারপর আর লেখালেখি করিনি।
পরে ঐ ডায়েরিতে যখন Exide Life Insurance Co. তে কিছুদিনের জন্য ট্রেনিং এর জন্য ব্যবহার করেছিলাম।
তারপর ঐ কোম্পানি ছেড়ে দেবার পর কিছুদিন যাবত YOUTUBE থেকে গীটার বাজানো শিখছিলাম। আমার নিজের তো গীটার নেই , ঐ মেসের এক দাদার গীটার নিয়ে ওতে প্রাকটিস করতাম, আর প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ঐ ডায়েরীতে টূকে রাখতাম ।
ওটাও বেশীদিন চলল না। আসলে সত্যি কথা বলতে আমি বা আমার জীবনটা ঠিক যেন ভবঘুরে দের মতন কোনও নির্দিষ্ট এক জায়গায় বেশীদিন স্থায়ী থাকতে পারে না।



যেমন কিছু পাখি আছে, যাদের নিজের বাসা থাকা সত্ত্বেও তারা আকাশে ঊড়ে বেড়াতে ভালোবাসে । এটা হয়তো বলাটা ভূল হল -- সব পাখিই তো আকাশে উড়তে ভালোবাসে। আসলে আমি যেটা বলতে চেয়েছিলাম, সেটা হল - এমন পাখি আছে, যারা অনেকদিন ধরে খাঁচার মধ্যে বন্দী থাকার পর , হঠাৎ ওদের সামনে খাঁচার দরজা খূলে দিলে ঊড়ে পালায় না, কিছুটা দূর বাইরে গিয়ে আবার খাঁচার ভিতর ফিরে আসে ; কারণ তার এতদিনের অভ্যাস সে ত্যাগ করতে পারে না। সে তার খাঁচাটাকেই তার নিরাপদ বাসস্থান আর খাঁচার বন্দী দশাকে নিরাপদ জীবন মনে করে ওখানেই স্থায়ী হয়ে নিরাপদে থাকতে চায়।
আবার কিছু পাখি আছে, যারা নিরাপদ নিঃসংকোচ জীবন দশা ত্যাগ করে অসীম - অজানা পথের দিকে পাড়ি দেয় , তার দুটি পাখার জোরে উড়ান দেয় অসীম অনন্ত আকাশে, যেখানে সে কোনোদিন কোন নিরাপদে আশ্রয় পাবে কিনা সেটা তার অজানা।

আমার জীবনটা ঠিক এই দ্বিতীয় রকমের পাখির মত। আমার কোন নির্দিষ্ট জিনিসে মন বেশীদিন টীকে না । না নিজের বাড়ী, পড়াশুনা, চাকরী কিংবা প্রেম।
প্রেমে আমি অসফল কারণ, আমি যেমন হঠাৎ করে প্রেমে পড়ি, খূব তাড়াতাড়ি প্রেমের গভীরে চলে যাই আর খূব শীঘ্রই ঐ প্রেম থেকে, ঐ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাই, নইলে কেমন যেন একটা আই-ঢাই অনুভূত হয় । আমি এতদিন যাবত যতোগুলি প্রেম করেছি , সেগুলোতে খূব বেশী ৮-৯ মাস পর্যন্ত প্রেমের সম্পর্ক স্থায়ী হয়েছে ।
কথা বলতে বলতে কোঁথা থেকে কোথায় চলে এলাম।

'এ যেন গেছিলাম পুকুরে মাছ দেখতে এসে পড়লাম মন্দিরের পাথরের মূর্তি দেখতে।'

বাদ দাও। যে কথাটা বলার ছিল মানে বলতে চাইছিলাম , সেটাই তো বলা হল না।
আজকে সকালে বাসে বসে অফিস যেতে যেতে খূব ডায়েরী লিখতে ইচ্ছা হল, তাই অনেক কষ্টে আজ থেকে ডায়েরী লেখা শুরু করলাম। জানিনা এটা ঠিক কতদিন চলবে?




No comments