আমার কমফোট জোন। ডায়েরির পাতা থেকে - ৬ষ্ঠ। My Comfort Zone from my Dairy
তাং - ০৭.০২.২০১৯ (ইং)
আজ সকাল থেকে খুব ছটফট করছিলাম --- ডায়েরী লেখার জন্য। কি করব ?
সকালে উঠেই একেবারে অফিস, আর অফিস মানেই তো হাজারটা কাজ, একটুও শান্তিতে বসার জো নেই। তাই ওখানে ডায়েরী লেখার ও কোন সুযোগ নেই।
যদিও ব্যাগে আমি সবসময় ডায়েরী নিয়ে যাই, যদি কোন বিশেষ মুহূর্তে বিশেষ মুহূর্ত গুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারি !!!
কিন্তু ............................................. সেই বিশেষ মুহূর্ত আর আসে না। 😉
আজ সারাদিন ডায়েরী লেখার জন্য ব্যতিব্যস্ত হচ্ছিলাম, কারণ, আজ অনেক কিছু বলার ছিল।
কিন্তু............... এখন যখন ডায়েরীটা হাতে নিয়ে লিখতে বসেছি, তখন কিছুই মনে আসছে না, যেন সব কিছুই একেবারে ব্লাঙ্ক হয়ে গেছে। !!!!!!! 😕😕😕😕😕😕😕😕😕
কি আর করব ?
দেখি......... চেষ্টা করে......, যদি কিছু মনে পড়ে যায়।
হ্যাঁ, , , , , , , , , , এতক্ষণে ..................... একটা কথা আবছা মনে পড়ছে।
আজ অফিসে পবিত্র দার সাথে আমার অনেক নতুন - পুরানো স্মৃতি, মনের দুঃখ - খুশির কথা শেয়ার করলাম। খুব ভালো লাগল। মনে হচ্ছে যেন মন থেকে অনেকদিন ধরে জমে থাকা এক ভারী পাথর নেমে গেল। 😌😌😌😌😌😌😌😌😌😌
তারপর, আর ও একটা কথা মনে পড়ছে।
আজ মোবাইলে ফেসবুক করতে করতে মোটিভেশনাল স্পিচার সন্দীপ মাহেস্বরির একটা ভিডিও দেখলাম। অসাধারন ভিডিও !!!!!!
ভিডিও টার বিষয়বস্তু ছিল, কি করে আমরা আমাদের কমফোট জোন থেকে বেরব ?
ভিডিও টা থেকে অনেক কিছু শিখলাম।
আসলে আমারা সবসময় আমাদের কমফোট জোন এ থাকতে বেশি পছন্দ করি। 'কমফোট জোন' অর্থাৎ, ধর, আমি এখন একটা চাকরি করছি, সে যতই কম মাইনের হোক না কেন।
এই চাকরিতে আমি কি কোন ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি আমার ?
এই চাকরি করে আমি কি মন - প্রাণ থেকে সন্তুষ্ট ?
এসবের উত্তর হল একটাই ----- 'না'।
এত না সত্বেও আমি রেগুলার অফিস করছি। কারণ, মাসের শেষে এই চাকরি থেকে আমি একটা নির্দিষ্ট টাকা পাচ্ছি। কিন্তু যদি আমি এখন আমার স্বপ্ন অর্থাৎ প্রফেশনালি লেখা লেখি শুরু করি, তাহলে কি হবে?
তাহলে কি আমি সেই আমার সংসার চালানোর জন্য নির্দিষ্ট টাকাটা পাব ?
পাব না, আর এর ফলে আমায় শেষে একেবারে পথে বসতে হবে, কারণ টাকা না দিলে নাতো এই কলকাতার মতো বড় শহরে খাবার পাব, না পাব কোন থাকার জায়গা।
এই কারনেই তো আমি আমার চাকরিটা ছাড়তে পারছি না। 😢😢😢😢😢😢
যতই না খারাপ লাগুক রেগুলার ওইসব কাজ করতে আমাকে চাকরিটা করতে হবে।
------------------- এটাই হচ্ছে আমার কমফোট জোন। অর্থাৎ ঐ চাকরিটা।
কিন্তু আমি যদি নিজেকে অন্যান্য ঘোড়ার রেশের প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা করতে চাই, নিজেকে এক আলাদা পরিচয় দিতে চাই, তবে আমার ঐ কমফোট জোন থেকে আমাকে বেরিয়ে আস্তে হবে, চলতে হবে ঐ কাঁটা ভরা পথে একাকী, নিঃসঙ্গে, নীরবে, তাহলেই তো পাবো আমি সফলতা। 💪💪💪
তাই আজ থেকে আমি প্রতিশ্রুতি নিলাম, আমি আজ থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে আমার কমফোট জোন থেকে বের করানোর চেষ্টা করব এবং একাকী হাঁটা শুরু করব ঐ কাঁটা ভরা পথে।
তাহলেই তো গলায় পরতে পারব সফলতার বরণ মালা।
Tag: Comfort Zone, my Dairy, Sandeep Maheswari, Motivational Speecher, Personal experience, motivational speech, motivational speech for students
Post a Comment